সেফটিপিনের চেইন বানিয়ে গিনেস বুকে নাম লেখালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পার্থ !!
সোনালী রঙ্গের ছোট সেফটি পিন দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ চেইন তৈরি করে গিনেস বুকে নাম লেখালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামের পার্থ চন্দ্রদেব।সাত হাজার ৮শ’ ৭৭ ফুট দৈর্ঘ্যের সেফটিপিনের চেইন তৈরি করে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। ১৭ই সেপ্টেম্বর হাতে পেয়েছেন বিশ্ব রেকর্ড গড়ার স্বীকৃতিপত্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে জগদীশ চন্দ্রের ছেলে পার্থ চন্দ্র দেব। পড়াশোনার পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে বড় ভাইয়ের সঙ্গে একটি স্টেশনারি দোকান চালান।গেল বছর হঠাৎ করেই সেফটিপিন দিয়ে চেইন তৈরির ইচ্ছা জাগে পার্থর। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ১৭শ’ ৩৩ মিটার দৈর্ঘ্যর চেইন তৈরির বিশ্ব রেকর্ড ভারতের হার্শা নান ও নাভা নান এর দখলে।
সেই রেকর্ড ভাঙার উদ্দেশ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এ যোগাযোগ করেন পার্থ। ২৩শে জুলাই গিনেস কর্তৃপক্ষর সম্মতি পাওয়ার পর ৪৫ দিনে এক লাখ ৮৭ হাজার ৮২৩টি সোনালী রঙের সেফটিপিন দিয়ে চেইন তৈরি করেন পার্থ। যার দৈর্ঘ্যে ২৪শ’ ১ মিটার বা ৭ হাজার ৮শ’ ৭৭ ফুট।
সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই চেইনের জরিপ করা হয়। প্রমাণ হিসেবে ছবি ও ভিডিওসহ তথ্য পাঠানো হয় গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে। পরে, ১৭ তারিখে পার্থর প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাওয়া তরুণ পার্থ চন্দ্র দেব বলনে, ‘আমি অনেক বেশি আনন্দিত। যা আশা করেছিলাম, তার চেয়ে বেশি পেয়েছি বলেই মনে হচ্ছে। এখানে আমি আমার এলাকার সবার সহযোগীতা পেয়েছি।’
পার্থ জানান, মানুষের ভালবাসায় কৃতজ্ঞ তিনি। এই ভালোবাসা নিয়ে আগামী দিনগুলোতে তিনি বেঁচে থাকতে চান।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফীর মতে পার্থর এই অর্জন যুব সমাজের জন্য একটি দৃষ্টান্ত।
একটি রেকর্ড গড়েই থেমে যেতে চান না পার্থ। নতুন পরিকল্পনা হিসেবে এবার স্টেপলারের পিন দিয়ে আরেকটি চেইন তৈরির কাজ এরই মধ্যে শুরু করেছেন তিনি।গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করার পর তার স্বীকৃতি দেখার জন্যে বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার উৎসুক মানুষ এসে ভিড় করছেন পার্থের বাড়িতে।