সিলেটে বন্যা ভয়ংকর রুপ নিয়েছে, পানিবন্দি ১৫ লাখ মানুষ
বৃষ্টি না হলেও ভারতের উপরিভাগ থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে আসায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বুধবার (১৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিলেট নগরীতে আরও দুই ইঞ্চি পানি বেড়েছে। এছাড়া জেলার আট উপজেলায়ও বন্যার পানি বাড়ছে।
এ অবস্থায় জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে সিলেট জেলা ও মহানগরীর প্রায় দেড় লাখ মানুষ। বন্যাকবলিত এসব মানুষের বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের ভীষণ প্রয়োজন।
বুধবার (১৮ মে) দুপুরে নগরীর আরও নতুন এলাকা প্লাবিত হয়। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। এ অবস্থায় নগরীতে ১৫টি স্কুলসহ ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনও খাদ্য সংকটে পড়েছেন।
নগরীতে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডের মসজিদে মাইকিং করে বলা হচ্ছে বন্যার পানি দ্রুত বাড়ছে। ঘরের জিনিসপত্র নিরাপদে রেখে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে।
সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ খাদ্য সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমার ওয়ার্ড। প্রায় ৯৮% এলাকা পানির নিচে। এ ওয়ার্ডে ৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সিটি করপোরেশন থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র দেড়শ প্যাকেট শুকনো খাবার পেয়েছি। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে আরও ৭০০ প্যাকেট বিতরণ করেছি।
তাজ বলেন, আমাদের এখানে চার হাজার প্যাকেট খাবার দরকার, কিন্তু আমরা পেয়েছি খুবই কম। আমাদের চাহিদাগুলো সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।