সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ংকর রুপ নিয়েছে
সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সীমান্তের কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও সিলেট পয়েন্টে কিছুটা বেড়েছে।
জকিগঞ্জের বড়চালিয়া, সুপ্রকান্তি ও রারাই গ্রামে কুশিয়ারা নদীর নতুন বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। কানাইঘাট ও গোয়াইনঘাট থানা সদরসহ জেলার অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হাঁটু পানির কারণে এখনো বন্ধ রয়েছে। ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটও প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেট নগরীতেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।
ইতোমধ্যে সিলেটে বন্যার্তদের জন্য ১৯৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. মুজিবুর রহমান। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউএনওদের সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, বন্যার্তদের জন্য ১০০ টন চাল ও তিন হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। এর আগে ১২৯ টন চাল এবং ১০০০ শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে ২০০৪ সালের পর নদীর পানি এতটা বাড়েনি। এটি ১৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্যা। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে ২৩ জুন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে।