নির্বাচন এলেই প্রার্থী হন রুপা
রূপা রায় চৌধুরী। বয়স চল্লিশের উপরে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের চন্দন রায়ের স্ত্রী। শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পাশ। তিনি তিন সন্তানের জননী। স্বামী চন্দন রায় একজন কৃষক।
কোনো রাজনৈতিক দলের সক্রিয় নেতা না হলেও তিনি ইউপি ও সংসদ ও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হন। তবে যতবারই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ততবারই জামিন পেয়েছেন। এরপরও বারবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার নেশায় পরিণত হয়েছেন রুপার।
এবার তিনি টাঙ্গাইল-৬ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোথাও কোথাও তার পোস্টার দেখা গেলেও পুরো নির্বাচনী প্রচারণায় তাকে দেখা যায়নি। আগামীকাল (১৬ জানুয়ারি) উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আর্থিক সামর্থ্য না থাকলেও ২০১৬ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন রূপা রায়। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু দুটি নির্বাচনেই তার জামিন বাজেয়াপ্ত হয়। ২০১৬ সালে, ভাতগ্রাম ইউপিতে চেয়ারম্যান পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরপর যাচাই-বাছাইয়ে বয়স কম থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।