আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারিতে মামুনুল হক, নির্দেশনা পেলেই গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক যেকোনো সময় গ্রে’প্তার হতে পারেন। দুই দিনে ঢাকায় ও নারায়ণগঞ্জে তার বি’রু’দ্ধে একা’ধিক মা’ম’লা হওয়ার পর তাকে নজরদারিতে রে’খেছে পুলিশ ও র্যাব। পাশাপাশি সাদা পোশাকে একাধিক গো’য়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তার গতিবিধি নজরদারি করছেন। সরকারের একাধিক মন্ত্রী গত দুই দিনে হেফাজতের তা’ণ্ডবের ব্যাপারে সরকারের ক’ঠোর অবস্থানে যাওয়ার কথা বলেছেন।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মামুনুল হককে গ্রে’প্তারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। মাম’লা হয়েছে। শর্ট টাইমের মধ্যে আমরা গ্রে’প্তার অ’ভি’যান চালাব। আবার আসা’মিকে গ্রে’প্তারে সময় লাগতে পারে, খুঁজতে হবে, আসা’মি কোন ঠিকানায় আছেন তা জানতে হবে। তবে আমাদের সব ধরনের তৎপ’রতা চলছে।’
গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় রিসোর্ট কা’ণ্ডের পর মামুনুল হক তার মোহাম্মদপুরের বাসায় আর ফেরেননি। এদিকে সন্তানদের নিয়ে তার স্ত্রী মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং ১ নম্বর সড়কের ওই বাসা ছে’ড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। মামুনুল হক শি’ক্ষকতা করেন মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসায়। রিসোর্ট কা’ণ্ডের পর গত সোমবার ওই মাদ্রাসায় হেফাজত নেতারা জরু’রি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মামুনুল হক। এরপর আর তার দেখা পাওয়া যায়নি।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী বলেন, ‘তার (মামুনুল) সঙ্গে সর্বশেষ দেখা হয়েছে গত সোমবার। উনি মিটিংয়ে ছিলেন। এরপর আর তার সঙ্গে দেখা হয়নি। উনি কোথায় আছেন জানি না।’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র বলছে, শনিবার রাতে সোনারগাঁ থেকে ফিরে মামুনুল হক পল্টনে বোনের বাসায় যান। সেখান থেকে যান মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসায়। সেখান থেকে বসিলায়। গত সোমবার তিনি জামিয়া রাহমানিয়ায় এসেছিলেন। তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই তাকে গ্রে’প্তার করা হবে।